ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ। কারণ নিউজিল্যান্ডকে এই ম্যাচে হারাতে পারলে র্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে ওঠার পাশাপাশি ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলাও নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা আগেই জিতে ফেলায় নিউজিল্যান্ডের কাছে এই ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল নিয়মরক্ষার।
মাশরাফি বিন মর্তুজারা সেই অর্জনটাই উপহার দিলো বাংলাদেশকে। ক্লনটার্ফে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। যদিও বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের সময়সীমা বেধে দেয়া আছে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
তবে, র্যাংকিংয়ে ৬ নম্বরে ওঠার পাশাপাশি সাত নম্বরে নেমে যাওয়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধান ভগ্নাংশের হলেও আট নম্বরে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবধান ৫ এবং নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধান তৈরি হয়েছে ১৪ পয়েন্টের।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়তো পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে; কিন্তু ৯ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট বাড়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই আর। সুতরাং, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাংকিংয়ের সেরা আটটি দলের মধ্যে থাকতে পারলেই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিশ্চিত।
আপাতত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে আর মাশরাফিদের র্যাংকিং নিয়ে ভাবতে হবে না। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী দল পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে টাইগাররা।
আয়ারল্যান্ডের কাছে যদি দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যেতো তাহলে র্যাংকিংয়ে বড় ধরনের অধঃপতন ঘটে যেতো মাশরাফিদের। রেটিং পয়েন্ট একলাফে নেমে আসতো ৮৩-তে। তখন, পাকিস্তান উঠে যেতো বাংলাদেশের ওপরে, সাত নম্বরে। বাংলাদেশ নেমে যেতো আট নম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধানটা হতো মাত্র চার পয়েন্টের।
আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানোর কারণে বড় অধঃপতনের শঙ্কাটা কেটে গিয়েছিল। বাংলাদেশ সাত নম্বরেই ছিল। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রেটিং পয়েন্ট এক লাফে ৯১ থেকে হয়ে গেলো ৯৩। ভগ্নাংশের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার উপরে উঠে গেলো বাংলাদেশ।
–
পাঠকের মতামত